ব্লু হোয়েল একটা অনলাইন সুইসাইড গেম, যার ফাঁদে পরে সারা বিশ্বে শতশত টিনেজ ছেলে মেয়েরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
গেমটি কোথাও ডাউনলোড করে পাওয়া যায় না। তবে বিশেষভাবে গেমটির কিউরেটর বা এডমিনিস্ট্রেটরের নজরে আসা যায়।
এরপর কিউরেটর বা এডমিনিস্ট্রেটর নিজেই যোগাযোগ করে গেমের অংশ হিসেবে প্রতিযোগীকে একেক দিন একেকটা চ্যালেঞ্জ টাস্ক দেয়। এভাবে পঞ্চাশ দিনের মোট পঞ্চাশটি চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে হয় গেমটি শেষ করার জন্য।
চ্যালেঞ্জগুলোও অনেক অদ্ভুত। যেমন- হাত কেটে কিছু লেখা, চাকু দিয়ে শরীরে তিমি মাছ আঁকানো, উঁচু বিল্ডিং এ চড়া, মাঝরাতে কবরস্থানে যাওয়া, গায়ের ভেতর সুই ফোটানো, ভোর রাতে বাহিরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
প্রত্যেক চ্যালেঞ্জ শেষ করার পর এর ছবি আবার এডমিনিস্ট্রেটরকে পাঠাতে হয় প্রমাণ দেওয়ার জন্য। তখন এডমিনিস্ট্রেটর তার সাহসিকতার প্রশংসা করে তাকে পয়েন্ট দেয়।
এভাবে উনপঞ্চাশটি চ্যালেঞ্জ শেষ করার পর শেষ চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় সুইসাইড বা আত্মহত্যা করার।
আর এই চ্যালেঞ্জটিই বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে কয়েকশ টিনেজ ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতেও বেশ কয়েকজন কিশোর আত্মহত্যা করেছে এই গেম খেলে। এর সাথে আমাদের দেশও নতুন করে যোগ হল।
আবার কেউ যদি গেমটি শুরু করার পর আর না খেলতে চায়, তখন তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয় তার অথবা আত্মীয় স্বজনের ক্ষতি করার। যদিও এসব হুমকির কোন বাস্তবতা নেই, কিন্তু অনেক টিনেজরা এগুলো হুমকিকেই সত্যি ভেবে ভয় পেয়ে গেমটা চালিয়ে যায়।
রাশিয়ার “ডেথ গ্রুপ” নামের একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপ গেমটি চালায়। এই গেমটি ২০১৩ সালে রাশিয়ার ফিলিপ বুদেকিন নামের একজন মনোবিজ্ঞানের ছাত্র তৈরি করে।
সম্প্রতি রাশিয়ার পুলিশ ফিলিপকে গ্রেপ্তার করার পর এই ভয়াবহ তথ্য বের হয়ে এসেছে।
ডাটা অনুযায়ী আট বছর থেকে বাইশ বছর পর্যন্ত কিশোর কিশোরীরা এই গেমে আসক্ত। এদের মধ্যে টিনেজরা বেশি আত্মহত্যা করেছে।
তাই নিজের কাছের কিশোর কিশোরীদের দিকে নজর রাখা উচিত সবসময়, কেউ এই গেমের সাথে জড়িয়ে গেছে কি না কিংবা কেউ কোন অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না।
এমন অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লে অবশ্যই প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা সাথে সাথে গ্রহণ করতে হবে।।।